সূর্যঘড়ি নির্মাণকারী জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইবনে আশ শাতির
॥ আকাশ হাসান ॥
আবুল হাসান আলাউদ্দীন আলী ইবনে ইবরাহীম আল আনসারী বা সংক্ষেপে ইবনে আশ শাতির বা ইবনে আশ শাতির (১৩০৪-১৩৭৫ খ্রি.) ছিলেন একজন আরব জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও প্রকৌশলী। তিনি দামেস্কের উমাইয়া মসজিদে একজন মুত্তাক্কিত (সালাতের সময়গুলো নির্ধারণের জন্য নির্ধারিত ব্যক্তি) হিসেবে কাজ করতেন এবং ১৩৭১ বা ১৩৭২ সালে তিনি মসজিদের মিনারের জন্য একটি সূর্যঘড়ি তৈরি করেন। ইবনে আশ শাতির ছয় বছর বয়সে পিতৃহারা হন। এরপর তিনি দাদার কাছে লালিত-পালিত হন। তার কাছ থেকেই তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে আকর্ষিত হন। ইবনে আশ শাতির শিক্ষা অর্জনের জন্য কায়রো এবং আলেকজান্দ্রিয়ায় যান। আবু আলী আল মাররাকুশির কাছে পড়াশোনা সমাপ্ত করে তিনি দামেস্কে ফিরে যান। এ সময় উমাইয়া মসজিদে মুত্তাক্কিত হিসেবে তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার মুত্তাক্কিত হিসেবে কাজের মধ্যে ছিল দৈনিক পাঁচবার সালাতের সময় ও রমযান মাসের শুরু ও শেষ কবে তা নির্ণয় করা। এ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে তিনি বিভিন্ন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক যন্ত্র তৈরি করেন। তিনি নানা জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন এবং গাণিতিকভাবে তা মেলানোর চেষ্টা করেন। যা মসজিদের কাজের পাশাপাশি তার নিজের গবেষণায়ও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তিনি তার এ গবেষণা একটি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক ছক আকারে লিখে রাখেন। যদিও এ ছক কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের ওপর লেখা ইবনে আশ শাতিরের লেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হচ্ছে ‘আল কিতাব নিহায়াত আল সুল ফি তাসহিহ আল উসুল’ (প্রচলিত নিয়মের ....বিস্তারিত
এসি বিস্ফোরণের কারণ ও প্রতিকার
সোনার বাংলা বিজ্ঞানজগৎ ডেস্ক: তীব্র তাপপ্রবাহে এখন জনজীবন অতিষ্ঠ। এ গরমে যাদের ঘরে আছে এসি, তারাই একটু স্বস্তিতে আছেন। আবার অনেকেই এ গরম সহ্য করতে না পেরে এসি কিনছেন। যারা নিয়মিত এসি ব্যবহার করেন, তাদের কমবেশি ধারণা আছে- সেটি রক্ষণাবেক্ষণে কী করণীয় আর কী নয়! তবে অনেক ব্যবহারকারীরই হয়তো জানা নেই কীভাবে বা কতদিন পরপর এসি সার্ভিসিং করতে হয় কিংবা কীভাবে এসি থেকে দুর্ঘটনা ঘটে ইত্যাদি। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার ও দিকনির্দেশনা মেনে সেগুলো অপারেট করতে হবে। না হলে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
এসি বিস্ফোরণ কেন ঘটে? বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকে রুমের লোড অনুপাতে এসি ব্যবহার করেন না। ফলে এসি অনেকক্ষণ ধরে চলার পর ঘর ঠাণ্ডা হয়। ফলে এসি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। নিম্নমানের এসি কিনলে সেগুলোর ভেতরে ফ্যান, তারের, বিদ্যুতের ব্যবস্থাগুলো ঠিক থাকে না। ফলে সেখানেও কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়, যা অনেক সময় আগুনের সূত্রপাত করতে পারে। এসি দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ হলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। ফলে কারিগরি ত্রুটির কারণে এসিতে আগুন ধরে যেতে পারে বা এসির গ্যাসে আগুন লেগে সেটি ঘরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক সময় উইন্ডো এসির সামনে জানালা বা দরজার পর্দা চলে এলে বাতাস চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়। সেটিও এসিকে গরম করে তুলতে পারে বলে তিনি জানান।
এসি দুর্ঘটনার সম্ভাব্য আরও কয়েকটি কারণ হলো- ১. অনেক পুরোনো বা নিম্নমানের এসির ব্যবহার করা, ২. রুমের আকার অনুযায়ী সঠিক ক্ষমতার এসি ব্যবহার না করা, ৩. কম্প্রেসরের ভেতরে ময়লা আটকে জ্যাম তৈরি হওয়া, ৪. ....বিস্তারিত
ফোন ১০০ শতাংশ চার্জ না দেয়াই ভালো
সোনার বাংলা বিজ্ঞানজগৎ ডেস্ক: বর্তমানে স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না। সারাক্ষণ কোনো না কোনো কাজে ব্যবহার করছেন স্মার্টফোন। ব্যাংকিং থেকে কেনাকাটা প্রায় সবকিছুতেই ফোন ব্যবহার করে থাকেন। ফোনের মাধ্যমে স্কুলের অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে অফিসের কাজও করা হয়। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব ফোনের ব্যবহার অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এজন্য অনেকেই দিনের অধিকাংশ সময় ফোন নিয়ে কাটান। এমন পরিস্থিতিতে ফোন সর্বদা সম্পূর্ণ চার্জ থাকাও প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, ফোনের ব্যাটারি কতটা চার্জ দেওয়া ভালো এবং কতটা চার্জ দিলে ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করতে ফোনের ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে চার্জ করা হয়।
অনেকেই জানেন না, ফোনের ব্যাটারি কতটা চার্জ করা উচিত- যাতে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট না হয়! আসলে যখন ফোনের ব্যাটারি ১০০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ করা হয়, তখন ফোনের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। জেনে নেওয়া যাক কেন এমন হয়।
মোবাইলের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়ন দিয়ে তৈরি। এ ব্যাটারি ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ চার্জিং হলে ভালো কাজ করে। কেউ যদি সবসময় এটি ১০০ শতাংশ চার্জ করে, তাহলে এটি সেই ফোনের ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, একটি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির জীবনকাল ২ থেকে ৩ বছর বলে মনে করা হয়। একটি স্মার্টফোনের ব্যাটারিতে ৩০০ থেকে ৫০০ চার্জ সার্কল থাকে। এর মানে হলো ফোনের ব্যাটারি শূন্য থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ৩০০ থেকে ৫০০ বার ....বিস্তারিত